শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: অতিরিক্ত সচিবের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ফেরি ছাড়তে দেরি হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গুরুতর আহত এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহনওয়াজ দিলরুবা খানকে। কমিটির আরেক সদস্য হলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নড়াইলের কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস গত বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা। রাত ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সটি যখন কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছায় তখন কুমিল্লা নামে একটি ফেরি ওই ঘাটেই ছিল। কিন্তু সরকারের এটুআই প্রকল্পে দায়িত্বরত যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডলের গাড়ি যাবে এই নির্দেশনা থাকায় ফেরি ছাড়তে দেরি করে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
শেষ পর্যন্ত রাত ১১টার দিকে যুগ্ম সচিবের গাড়ি ঘাটে পৌঁছানোর পর ফেরি কুমিল্লা রওনা হয়। কিন্তু মাঝ নদীতে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ১১ বছর বয়সী তিতাস।
এদিকে আবদুস সবুর মণ্ডলকে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লেখা হয়েছে, যা সঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থায় আব্দুস সবুর মণ্ডল নামে কোনো অতিরিক্ত সচিব বা যুগ্মসচিব বা কোনো অফিসার নেই। সেদিন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থার উক্ত নামে কেউ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে ফেরি পারাপার হননি।